কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে নিহত হয়েছেন সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা গ্রামে তার গ্রামের বাড়ি। সেখানে চলছে শোকের মাতম। লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩)। তানজিম এর স্কুল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭ ব্যাচের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং পাবনা ক্যাডেট কলেজের ৩৬তম ব্যাচের ক্যাডেট।
মা, পরিবারের অন্য সদস্য, স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দিতে তার বাড়িতে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও আশেপাশের মানুষ।
লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ারের মরদেহ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ বাড়িতে আনা হবে। পরে জানাজার নামাজ শেষে সামরিক মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
নিহত সেনা কর্মকর্তার মা ও স্বজনরা জানান, পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে গত ২০২২ সালের ৮ জুন আর্মি সার্ভিস কোরে (এএসসি) কমিশন লাভ করেন তানজিম ছারোয়ার।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর পায় সেনাবাহিনী। পরে দ্রুত চকরিয়া ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযানে যায়। আনুমানিক ৪টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করার সময় ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ারের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি। এতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এই সেনা কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কর্মক্ষেত্রে সাহসী, নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক এই সেনা অফিসারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং জান্নাত নসীব করুন।