জাকির হোসেন রাজশাহী।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ২ নং হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির রাসেল রহমান (লিটন)।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানান।তিনি বলেন- সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ভরে উঠুক তাদের জীবন। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব নির্ভিক বীর শহীদদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন মাতৃভূমি পেয়েছি।স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতার পর সর্বনাশা ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার হরণ করে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের নীলনকশা আজও বিদ্যমান। আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনাশ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ওই অপশক্তির এদেশিয় দোসররা নানা চক্রান্তজাল রচনা করে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন করে চলেছে। এরা ১৬ বছর ধরে প্রহসনের একতরফা নির্বাচন করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করেছে, এদেশের মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অদৃশ্য করে মানুষকে করেছে অধিকারহারা। এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে সর্বত্র হতাশা, ভয় আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসে।ক্ষমতা জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যময় হয়ে ওঠে। ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে মহান বিজয় দিবসের প্রেরণায় বলিয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে এবং ‘২৪ এর ছাত্র-জনতার মৃত্তিকা-কাঁপানো আন্দোলনে পরাজিত হয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ।
সবশেষে তিনি বলেন, দেশে আবার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা জেগে উঠেছে।