ঝালকাঠি জেলার ৭ নং ওয়ার্ডের পার কিফাইত নগর এলাকায় ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হেমায়েত হাওলাদার এর জমি দখল করার চেষ্টা করেছে ইছানীল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পীর ছেলে জাহিন। ঘটনা সূত্রে জানা যায় আজ ৯ অক্টোবর সকাল ১০ ঘটিকার সময় জাহিনের নেতৃত্বে হেমায়েত হাওলাদারের বাড়িতে কিছু ছেলেপেলে আসে তারা বলে আমাদের সমন্বয়ক জাহিনের জায়গা ফেরত দিতে হবে।এখানে আমরা এসেছি তাকে তার জায়গা বুঝিয়ে দিতে।
হেমায়েত ওয়ালাদর এর কাছে দৈনিক দেশ প্রতিদিন জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সূত্রপাত কি সেটা আমাদের বলেন। হেমায়েত হাওলাদার বলেন গত ১০ বছর আগে ৩ শতাংশ জমি জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পীর কাছে বিক্রি করি এবং তাকে ঐ ৩ শতাংশ জমি দলিল করে দেই যার প্রধান সাক্ষী ছিলেন হেমায়েত হাওলাদারের বড় ছেলে।
পরবর্তীতে জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী দুটি জাল দলিল নিয়ে আরো পাঁচ শতাংশ জমি দাবী করে।
যেই দলিল দুটির সম্বন্ধে হেমায়েত হাওলাদার কিছুই জানেন না এমনকি ওই দলিলের সাক্ষী গণ জানে না যে কবে দলিল হইছে কার নামে দলিল হইছে জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীদের দিয়ে টাকার বিনিময় জাল দলিল করে তার ওই পাঁচ শতাংশ জমির জোরপূর্বক দখল করে। পরবর্তীতে হেমায়েত হাওলাদার ওই দলিল দুটি বাতির চেয়ে আদালতে মামলা করেন মামলা নং ৫৭/২০ । জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী ও তার চক্ররা সেখানেও একজন অসাধু কর্মকর্তাকে টাকা খাইয়ে তিনি মামলা খারিজ করান। হেমায়েত হাওলাদার জানতে পেরে তাৎক্ষণিক মামলাটি আপিল করে আপিল নং ৫৭/২২ । সেখানেও হেমায়েত হাওলাদার কে অনেক জুলুম অত্যাচার করে জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী।আদালতে মামলা চলাকালীন টাকার বিনিময় প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে হেমায়েত হাওলাদার এর বাড়ি ঘর ভেঙে জমি দখল করে নেয় জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী। তিনি আওয়ামী লীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে হেমায়েত হালাদার এর জমিটিকে দখল করে নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। যেখানে নেতাদের পিছনে তার খরচ হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। ৫ লক্ষ টাকার বিনিময় নিরীহ মানুষের জমিটি দখল করে দিয়েছিল কিছু অসাধু নেতারা। যার গানি এখন অসহায় শ্রমিক টানতেছে। ঘটনা সূত্রে আরো জানা যায় জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পীর স্বামী আব্দুল সাত্তার আওয়ামী লীগের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পিয়ন হিসেবে চাকরি রত ছিলেন এবং সেই সময় তিনি চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন যার প্রধান হাতিয়ার ছিল এই শিল্পী। এ নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় কয়েকবার রিপোর্ট করা হয়েছে এবং ডিবি তাকে খোঁজতেছে। তাই ভুক্তভোগীর সরকারের কাছে একটি মাত্র চাওয়া তিনি তার জমি ফেরত চাচ্ছেন। এবং তার মামলাটি সুস্থভাবে চালাতে পারেন তাই সরকারের কাছে সহযোগিতার আবেদন করেছেন। কারণ আদালতে মামলা চলাকালীন বারবার তাকে জমি দখলের হয়রানিতে পরতে হয়েছে। এবং বারবার তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে অপমান করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছেন।